আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ-
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাটে ডিপজল বাস ডাকাতির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার সর্বশেষ আসামি শাকিল মিয়া (২৩) কে গ্রেফতার করেছে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সেরাজুল হক।
সাদুল্লাপুর থানায় মামলা ও ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ আগস্ট ২০২১ তারিখে ঢাকা থেকে ২০/২৫ জন যাত্রী নিয়ে রংপুর অভিমুখে রওনা দেয় ডিপজল বাস। পথিমধ্যে বাইপাইল থেকে ৪ জন ও জিরানী এলাকা থেকে ৩ জন যাত্রী বাসে উঠে পড়ে।
পরে উক্ত ৭ যাত্রী বগুড়ায় এসে সুযোগ বুঝে ড্রাইভারকে অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে ও হাতা-পা বেঁধে ফেলে বাসটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় যাত্রীবেশী ডাকাত দলের সদস্যরা।
এসময় তারা যাত্রীদের টাকা, স্বর্ণ, মোবাইল সহ সর্বস্ব লুট করে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একবারপুর নামক স্থানে নেমে যায় ডাকাত দল।
এঘটনায় গোটা জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি করে উক্ত ডাকাতির ঘটনা। পরবর্তীতে সাদুল্লাপুর থানায় বেশকয়েক জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করা হয়। যাহার মামলা নং-২০। তারিখ-২০/৮/২১, ধারা-৩৯৫/৩৯৭।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয় ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের চৌকস ও সুদক্ষ ইনচার্জ সেরাজুল হক'কে। পরিশ্রমী, কর্মঠ, চৌকস ও সুদক্ষ এই কর্মকর্তা একের পর এক রাত-দিন দেশে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১১ জন জেলা ও আন্তঃজেলা ডাকাত সদস্য'কে গ্রেফতার করে।
এরমধ্যে ৬ জন আসামি বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বাস ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরবর্তীতে তদন্তে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও মোবাইল কললিস্ট পর্যালোচনা করে শাকিল মিয়ার ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পায় এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তখন থেকেই আলোচ্য এই মামলায় শাকিল মিয়া'কে গ্রেফতার করতে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসছিলেন। এরইমধ্যে শাকিল মিয়া'কে ধরতে গত ১১ মাসে ৯টি অভিযানও পরিচালনা করেন।
কিন্তু আসামি শাকিল মিয়া অত্যাধিক চতুর হওয়ায় ও বারবার স্থান পরিবর্তন করায় তাকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হন তদন্তকারী কর্মকর্তা সেরাজুল হক।
তারই ধারাবাহিকতায় তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে শাকিল মিয়ার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ও জেলা পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ সেরাজুল হক এর নেতৃত্বে এএসআই আমিরুল ইসলাম সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ১৩ জুলাই অভিযান চালিয়ে রাত্রি ২টা ৩৫ মিনিটে ইদিলপুর ইউনিয়নের চকনদী গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মোস্তার ছেলে শাকিল মিয়া'কে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের চৌকস ও সুদক্ষ ইনচার্জ সেরাজুল হক দৈনিক আলোকিত সকাল, মতপ্রকাশ ও সাপ্তাহিক খোলাহাওয়া পত্রিকা'কে জানান, ডাকাতি মামলাটির তদন্তভার পাওয়ার পর থেকেই আসামিদের গ্রেফতার করতে একের পর এক অভিযান চালিয়ে আসছি।
সর্বশেষ আসামি শাকিল মিয়াকেও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, অপরাধ দমনে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকলের একান্ত সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ সেরাজুল হক 'পুলিশ জনগণের বন্ধু' এই স্লোগানে সাধারণ মানুষের কাছে হয়ে উঠেছেন আস্থার ও বিশ্বাসের প্রতীক।
সেই সঙ্গে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পেয়েছেন কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন পুরস্কারও। একজন দক্ষতা সম্পন্ন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে তিনি প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছেন হত্যা মামলার আসামী, ডাকাত, অপহৃত ভিকটীম, পেশাদার চোর, ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী।
উদঘাটন করেছেন ক্লুলেস মামলার রহস্য, রাত-দিন পরিশ্রম করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও থানা থেকে গ্রেফতার করেছেন আন্তজেলা ডাকাতসহ চোর, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহৃত স্কুল ছাত্রী সহ ছিনতাইকৃত চিনি ও ট্রাক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।
যার ফলে অতীতের বিভিন্ন সময়ের চেয়ে বর্তমানে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সক্ষম হয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন ইসলামপুরে আই সি ইউ এম্বুলেন্স সার্ভিসের শুভ উদ্বোধন
উপদেষ্টা:
প্রকাশক: মোছাঃ খাজিদা আক্তার
বিথী
সম্পাদক: আফজাল শরীফ
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদক: মোঃ আমিনুল ইসলাম বাহার
সহকারী বার্তা সম্পাদক: মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জব্বারগঞ্জ বাজার,
বকশীগঞ্জ, জামালপুর
Copyright © 2025 দশানী ২৪. All rights reserved.