হঠাৎ করে ক্যামেরাম্যান গাড়ী থামালো। রাস্তার পাশে তাকাতেই দেখলাম তাকড়া জোয়ান
এক যুবক সুপারী গাছের সাথে তালা বদ্ধ বসে আছে। কাছে গিয়ে নাম জিজ্ঞাসা করতেই সে
বলল লিটন। বাবার নাম বলতে পারেনা। প্রতিবেশি এক মহিলার সাথে কথা বলে জানতে
পারলাম লিটন সানন্দবাড়ী বাজারে চাউলের দোকান করতো তার বাবার নাম সিরাজুল
ইসলাম । সানন্দবাড়ী বাজারের চাউল সেডে বাস করতো এক পাগলী। লিটন পাগলীর সাথে
সর্বদা খারাপ আচরণ করতো, বকাবাজি করতো। এদিকে হঠাৎ অন্য আরেক পাগল
আমদানী হয় বাজারে। লিটনের বাবা পাগলকে খাবার খাওয়াতো। চলাফেরার তারতম্যের
কারনে পাগলকে গালাগাল করে লিটনের বাবা। পরের দিন হতে আর ঐ পাগলকে খুজে
পাওয়া যায়নি। সিরাজুল নিজেই পাগল হয়ে পাগলামী শুরু করে। গ্রাম্য কবিরাজের
ঝারফুকে সুস্থ্য হলেও বধ্যপাগল হয় ছেলে লিটন। তার পাগলামীর মাত্রা বেড়ে গেলে প্রায়
১২ বছর যাবৎ এভাবেই শিকল ব্ন্ধী করে রাখা হয়। দির্ঘদিন ব্যবসা না থাকায় মুলধন শে
করে ফেলে লিটনের বাবা। টাকার অভাবে কবিরাজী তাবিজ কবজ বা ঝারফুক ছাড়া লিটনের ভাগ্যে জোটেনি কোনো
ডাক্তারের পরামর্শ বা ঔষধ। দেশের বিত্তবানদের সহযোগীতা পেলে হয়তো লিটন আবার
ফিরে পেতে পারে তার পুর্বের জীবন।
Leave a Reply