আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ, স্টাফ রিপোর্টারঃ
সামাজিক-রাজনৈতিকভাবে সমাদৃত, নিরহংকারী, গরীব-দুঃখী অসহায় মানুষের আস্থা, দলীয় ও তূণমূল নেতাকর্মীদের অহংকার, সবার প্রিয় মানুষ, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জননেতা আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ।
তিনি ছাত্রজীবন থেকেই ওতপ্রোতভাবে রাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৭৮ সালে পলাশবাড়ী এস. এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে যাত্র শুরু করেন ছাত্র রাজনীতির।
এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী-যুবলীগ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৬ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০০৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপজেলা শাখার সাবেক ১নং সহ-সভাপতি হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
দীর্ঘ এই রাজনীতির জীবনে তৃণমূলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে গড়ে উঠেছে তার সেতু বন্ধন।
সেই সেতুবন্ধন আর মানুষের প্রতি ভালোবাসার টানে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, রাস্তা-ঘাট, কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, মন্দির, মাদরাসা, ঈদগাঁ মাঠসহ এলাকার উন্নয়নে রেখেছেন বিশেষ অবদান। আর এসব উন্নয়নমূলক কাজগুলো তিনি সরকারী ও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বর্তমানেও রেখেছেন অব্যাহত।
আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসার টানে উপজেলাবাসী প্রথম বারের সফলতার পর দ্বিতীয় বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পরিষদের পক্ষ থেকে হয়রানি ও দূর্নীতিমুক্ত সেবা জনসাধারণের মাঝে পৌঁছে দিতে রাত-দিন নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন জনতার জননেতা আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ।
যার ফলে সরকারের সেবামূলক প্রতিষ্ঠান উপজেলা পরিষদ এখন সাধারণ মানুষের আস্থা আর বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাজনীতি করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিরোধী রাজনৈতিক হামলার স্বীকার ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
১৯৮৬ সালে পলাশবাড়ী সরকারি কলেজে ইসলামী ছাত্রশিবির কর্তৃক হামলার স্বীকার, ১৯৮৭ সালে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী গণআন্দোলনে স্থানীয় এমপি কর্তৃক রাজনৈতিক মামলা, ১৯৯৫ ও ২০০৩ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার কর্তৃক রাজনৈতিক হামলার স্বীকার।
২০০৪ সালের ১১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণআনাস্থা ও মানবপ্রাচীর কর্মসূচি চালাকালে বিডিআর-পুলিশ কর্তৃক হামলার স্বীকার, ১/১১ মঈনুদ্দিন-ফকরুদ্দিনের শাসনামলে যৌথবাহিনীর হামলার স্বীকার, ২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট-অগ্নিসংযোগ সহ একই বছরে জামাত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় ঘোষণার দিন ও রাতে নিজ বাসভবনে বিএনপি-জামায়াত হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ, সরকারী জীপ এবং ব্যক্তিগত গাড়িতে আগুন দিয়ে ভুস্মিভূত করে।
সালে বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক বাসভবনে ককটেল ও পেট্রোল বোমা হামলা স্বীকারসহ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামাতের তান্ডবের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের নিয়ে গড়ে তোলেন প্রতিরোধ।
সুদীর্ঘ এই রাজনৈতিক জীবনে নানান চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে অনেক সময় হয়েছেন ব্যথিত, সেই সঙ্গে করেছেন ধৈর্য্য ধারণ। তিনি সাধারণ মানুষ তথা দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে নির্লোভ, নিরহংকারী হিসেবে পেয়েছেন সর্বময় পরিচিতি।
রাজনৈতিক জীবনে অর্জন করেছেন হাজারো মানুষের ভালবাসা। আর এমন ভালবাসা নিয়ে তিনি সবসময় থাকতে চান সাধারণ মানুষের পাশে।
দলীয় ও তূণমূল নেতাকর্মী তথা সাধারণ মানুষ এমন একজন নেতাকে পেয়ে যেমন হয়েছেন গর্বিত।
ঠিক তেমনি আগামীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এই জননেতাকে সঠিক মূল্যায়নের মাধ্যমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩১-গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) আসনে আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ’কে এমপি মনোনয়ন দিয়ে জনমানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা পূরণ করবেন বলে তারা বিশ্বাস করেন।
আরও পড়ুন ঠাকুরগাঁওয়ে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ২ জন আটক; পুলিশ সুপারের প্রেস ব্রিফিং।
Leave a Reply