মোহাম্মদ দুদু মল্লিক শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের নওকুচিতে বৈধ জমি থেকে গাছ কর্তনের দুস্কৃতিকারীদের একটি সিন্ডিকেট বাধা প্রদান করেছেন বলে ভিডিও অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
জানা যায় ময়মনসিংহ ক্যাথলিক ডায়োসিস নামে ভূমির পরিমাণে ঝিনাইগাতীর মরিয়মনগর ক্যাথলিক ধর্মপল্লীর পক্ষে ফাদার নওকুচি জেএল নং ৩১ মোট ১.৩৭ শতাংশ ভূমিতে আকাশমনি কাঠের বাগান করে ভোগদখল করে আসছে ।
১৯৭৪ সালের ৪৫ নং খতিয়ানে আইনের বিধানে অর্পিত সম্পত্তি আরওআর মালিক গোরা কোচের স্ত্রী গোপি কোচনী । বি,আর,এস রেকডীর্য় মালিক গদে কোচের ছেলে ভরেন্দ্র চন্দ্র কোচ।
মরিয়ম নগর ফাদারের নিকট থেকে বর্গা চাষের দলীল নিয়ে সুব্রত রংমা,সোহেল রংমা,পলাশ রংমা, রিপন রংমা, নবীন রংমা, নয়ন রংমা ও লিটু রখো মিলে ভূমিতে ৭/৮ বছর আগে আকাশমনি গাছ রোপন করেন ।
তাদের নিকট থেকে আনসার আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম বাগানটি ক্রয় করে কর্তন শুরু করলে দুস্কৃতিকারীর একটি দল বন বিভাগের ৩২৫ নং দাগের কথা বলে গাছ কর্তনে বাধা প্রদান ও হয়রানী করছেন ।
সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গির আলম মিষ্টার বলেন দীর্ঘদিন থেকে এই নওকুচির ভূমি মরিয়মনগর ফাদার দেখভাল করে আসছেন । ইতি পূর্বেও এখানে বাগানের গাছ বিক্রি হয়ে কর্তন করা হয়েছে ।
আবার গাছ রোপন করেছে এবার রফিকুল ইসলাম বাগান ক্রয় করে কর্তনের কাজ শুরু করার ফলে দুস্কৃতিকারীর একটি দল বনের ৩২৫ দাগে কর্তন হচ্ছে বলে রাও তুলে সমস্যা সৃষ্ঠি করছেন ।
তিনি আরো জানান ৩২৫ দাগে কোন গাছ কর্তন হয়নি ওই দাগে কেহ প্রবেশ করেনি তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয়া হবে বলে জানান ।
এ ব্যাপারে রেঞ্জ কর্মকর্তা মুকরুল ইসলাম আকন্দ জানান নওকুচি জেএল নং ৩১ সাফ কবালা দলিল নং ১৫৭৯৫ খতিয়ান নং ২৩৯ সাবেক ২৮৫ হাল ৩২৬ দাগে তারিখ ১৯/৮/৭৮ ক্যথলিক আর্চ ডায়োসিসের পক্ষে মাইকেল রোজারিও খরিদ সূত্রে ভূমির মালিক ।
এ ভাবে মোট ১.৩৭ শতাংশ ভূমির মালিক তারা । অনেকেই না জেনে শুনে আমাকে জড়িয়ে যে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে তা মিথ্যা বানোয়াট ।
৩২৫ দাগে প্রবেশ করছে কিনা তা মেপে দেখা হবে বলে জানান ।
আরও পড়ুন বকশীগঞ্জে বাসের ধাক্কায় নিহত ১
Leave a Reply