ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি:
জামালপুরের ইসলামপুরে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।
মুক্তিযোদ্ধা সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে থানামোড় বটতলা চত্তরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড.জামাল আব্দুন নাছের বাবুল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহানুর রহমান, সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মানিকুল ইসলাম মানিক, শাহাদত হোসেন স্বাধীন,অফিসার ইনচার্জ সুমন তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ জামান আবু নাছের চৌধুরী চার্লেস প্রমুখ।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সহ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত হোসেন স্বাধীন বলেন-১১ নম্বর সেক্টর কমান্ডারের নির্দেশে ইসলামপুর উপজেলার উত্তর দরিয়াবাদ ফকির পাড়া গ্রামের মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন কোম্পানীর মুক্তিযোদ্ধারা সিরাজাবাদ এলাকায় ব্রক্ষপুত্র নদীর পাড়ে আখ ক্ষেতে একটি ক্যাম্প স্থাপন করে সেখান থেকেই গেরিলা যুদ্ধ চালানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পাক হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প দখলের উদ্দ্যেশে ৬ডিসেম্বর দুপুরে ইসলামপুরের পলবান্ধা পশ্চিম বাহাদুরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন সিরাজাবাদ রোডে অবস্থান নিয়ে চারটি ভাগে বিভক্ত হয়ে হানাদার ক্যাম্পে চারিদিক থেকে আক্রমণ চালায়। সেদিন দুপুর থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত একটানা যুদ্ধ হয়।
সেদিন মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমনে টিকতে না পেরে হানাদার বাহিনী অস্ত্র,গোলাবারুদ সহ অন্যান্য জিনিষপত্র ফেলে ট্রেনযোগে জামালপুরের দিকে পালিয়ে যায়।
হানাদার বাহিনী ইসলামপুর থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর ৭ ডিসেম্বর বেলা ১১ টায় ইসলামপুর থানা প্রশাসন সহ হাজারও মুক্তিকামী জনতা আনন্দ উল্লাস করে ইসলামপুর থানা চত্বরে সমবেত হয় ।
সেই সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন ইসলামপুরের মাটিতে প্রথম বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন। সেই দিন থেকেই ইসলামপুরের মাটি শত্রুমুক্ত হয়।
Leave a Reply