নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
চরাঞ্চলের জমিতে ফসল বৃদ্ধিতে কৃষকদের নিয়ে মাঠ দিবস করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহের কৃষিতত্ত্ব বিভাগ। ১৩ জুন বৃহস্পতিবার সকালে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার যমুনার চরাঞ্চল চরগুজিমারিতে এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. আহমদ খায়রুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিখি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড.আব্দুস সালাম, এ সময় প্রফেসর ড. মোঃ রাশেদুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামার বাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক পিএইচডি গবেষক কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আলমগীর আজাদ মাঠ দিবসে বক্তব্য রাখেন।
ফসল উৎপাদনের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পরিক্ষণ এবং জলবায়ু সহসীল ফসল ব্যবস্থার অভিযোজনের মাধ্যমে দেশের চরাঞ্চলে ফসলের উৎপাদনশীলতার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ দিয়ে চরাঞ্চলে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের সঠিক জাত এবং ফসলে সার প্রয়োগ সর্ম্পকে অবহিত করা হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, পরিবর্তিত জলবায়ুতে এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারনে কৃষি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। এমতাবস্থায়, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত তথা এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার নিমিত্তে বাংলাদেশের চরাঞ্চল একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় স্থান। নতুন ফসল, উন্নত জাত এবং উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে ফসল আবাদ করে যাতে কৃষকরা লাভবান হতে পারে সেজন্য চরাঞ্চলে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। গবেষণা প্রাপ্ত ফলাফল পরবর্তীতে কৃষকদের মাঝে প্রযুক্তি আকারে ছড়িয়ে দেয়া হবে।
চলতি মৌসুমে দেওয়ানগঞ্জের গুজিমারী চরাঞ্চলে চীনাবাদামের দুটি জাত, বারি চীনাবাদাম-১০ এবং বিনা চীনাবাদাম-৮ চাষ করা হয়েছিল। দুটি জাতের তিনটি রেপ্লিকেশনে মোট ৪৮ টি প্লট স্থাপন করা হয়েছিল। প্লটগুলোতে বিভিন্ন মাত্রার রাসায়নিক সার, ভার্মিকম্পোস্ট এবং গোবর সার ব্যবহার করা হয়। ইতোমধ্যেই প্লটগুলো থেকে সকল তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
উৎপাদিত ফলনের উপর বিশ্লেষণ করে সবচেয়ে ভালো জাত এবং সমন্বিত পুষ্টি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ফলাফল পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়।তাছাড়া রোপা আমন, ভূট্টা, গোল আলু, মরিচ, পাট এবং বিভিন্ন ফসলের আন্তঃফসল নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ঝিনাইগাতীতে ভিজিএফ’র চাল পেলো ১২৬২৭ টি হতদরিদ্র পরিবার
Leave a Reply