শেরপুর সংবাদদাতা:
শেরপুরের নকলার ইউএনও’র সাজানো ভ্রাম্যমান আদালতের মামলায় বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। সোমবার শেরপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জেবুন নাহারের আদালতে দুপুরে এ রায় দেন।
উল্লেখ্য, উপজেলা ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) প্রকল্প ও জাইকা প্রকল্পের টাকা হরিলুটের বিষয়ে তথ্য অধিকার ফরমে আবেদন করার দায়ে দেশ রূপান্তর পত্রিকার সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানাকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ৭ মাসের কারাদণ্ড দেয় ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন।
রানা ৭ দিন কারাভোগের পর তদন্তে নামে তথ্য কমিশন। তথ্য কমিশনের তদন্ত দোষী সাবস্ত হয় ইউএনও। তথ্য কমিশন ইউএনও সাদিয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে। প্রায় ৩ মাস পার হলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ইউএনও সাদিয়ার বিরুদ্ধে কোন দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় বহাল তবিয়াতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ইউএনও।
এদিকে ৭ দিন কারাভোগের পর আপিল আবেদনের প্রেক্ষিতে জামিনে মুক্তির পর তারিখের পর তারিখ আদালতে দৌড়াদৌড়ির পর ২৪ জুন সোমবার বেলা ১২.৫০ মিনিটের দিকে রায় ঘোষনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেবুন নাহার।
রায়ে জেবুন নাহার বলেন, ভোগকৃত সাজাই চুড়ান্ত! ১৮৮ ধারায় সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল তা থেকে বেকুসুল খালাস দেওয়া হলো এবং ৫০৯ ধারা মোতাবেক যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল সেই ধারায় যতদিন সাজা ভোগ করা হয়েছে তা থেকে অব্যাহতি দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করা হইলো।
উক্ত রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ( বিএমএসএফ)। সংগঠনটির পক্ষ থেকে সাংবাদিক রানাকে অন্যায় ভাবে কারাদণ্ড দেওয়ায় মানহানি এবং ইউএনও’র বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তথ্য অধিকার আইনে তথ্য কমিশন ও ইউএনও’র বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন বলে দাবি করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আহমেদ আবু জাফর।
আরও পড়ুন আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী গ্রেপ্তার
Leave a Reply