অবশেষে রুহিয়া ডিগ্রি কলেজের বাদ পরা ৩৬ পরিক্ষার্থীর ফরম পূরণ সম্পূর্ণ
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ গত দুইদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ডিগ্রি কলেজের ৪২ জন এইচএসসি পরিক্ষার্থী টাকা দিয়েও পরীক্ষা দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পরছে। শনিবার সকালে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাস এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এক পর্যায় কলেজের মূল ফটক তালা ঝুলিয়ে গেটের সামনে আগুন জ্বালিয়ে দেন। খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন এবং রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ গুলফামুল ইসলাম মন্ডল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন ইউএনও এবং ৩৬ জন পরিক্ষার্থীর ফরম পূরণ সম্পূর্ণ করে তিনি কলেজ ক্যামপাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন এবং কলেজের সভাপতি পার্থ সারথি সেন এর নজরে আসে।
ওই দিনে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ঢাকায় যোগাযোগ করে দ্রুত মানবিক শাখার ১১ জন ও বিএমটি শাখার ২৬ জন মোট ৩৬ জন শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ সম্পূর্ণ করে প্রবেশ পত্র প্রদান করা হবে বলে জানান ।
এইদিকে পরিক্ষার্থীরা আগামীকাল এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারবে জেনে খুশিতে আবেগাপ্লুত হয়ে যায়।
তারা সংবাদ মাধ্যমসহ যারা তাদের জন্য শ্রম দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন।
শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান শাবুর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
রুহিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মজিবর রহমান বলেন এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে কিন্তু ওই শিক্ষার্থীরা সেই কমিটি বা কলেজ কর্তৃপক্ষে না জানিয়ে কলেজ স্টাফ মিজানুর রহমান সাবুকে ফরম পূরণের অর্থ দিয়েছে। আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং আজকে সকালে কলেজে এসে জানতে পারি এই ঘটনা।
তিনি আরও বলেন কলেজ ক্যাম্পাসে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা এসে হট্টগোল করলে শুরু করে। পরিশেষে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন মহোদয় এবং কলেজ পরিচালনা কমিটির সন্মানিত সভাপতি পার্থ সারথি সেন ও আমিসহ যৌথ প্রচেষ্টায় মানবিক শাখার ১১ জন, বিএমটি শাখার ২৬ জন পরিক্ষার্থীর ফরম পূরণ সম্পূর্ণ করা হয়।
রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ গুলফামুল ইসলাম মন্ডল বলেন, রুহিয়া ডিগ্রি কলেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে খবর পেয়ে আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরে কলেজে এসে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলি তাদের অভিযোগ শুনেছি। কলেজের সভাপতি ও অধ্যক্ষর সাথে আলোচনা করে এবং শিক্ষা বোর্ড এর সাথে যোগাযোগ করে ৩৬ জন পরিক্ষার্থীর ফরম পূরণ সম্পূর্ণ করা হয়েছে, আর এই ঘটনায় অভিযুক্ত মিজানুর রহমান সাবুর বিরুদ্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply