মালিকুজ্জামান কাকা
যশোরের শংকরপুরে কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনলে ঝিনাইদহের বারোবাজার এলাকা থেকে আসা ৫ জুয়াড়ির ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা ছিনতাই করে নেয়ার ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এর আগেও এক দফা টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় জুয়াড়ি চক্রে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুi পক্ষ এ নিয়ে সরব অবস্থানে রয়েছে।
টার্মিনাল এলাকায় একটি চায়ের দোকানসহ কয়েকটি স্পটে এবং পাশের বলাডাঙ্গা গোবিন্দ মোড়ে অবাধ স্টাইলে চলা জুয়া বোর্ড বন্ধ করে দেয়ার ব্যপারে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন স্থানীয় শান্তিপ্রিয় মানুষ।
তথ্য মিলেছে, টার্মিনাল এলাকার মিন্টু ও জাহাঙ্গীর চায়ের দোকানের আড়ালে দোকানের পিছনে ফাঁকা মাঠে ও মোসলেমের বাড়ির পেছনে জুয়ার আসর চালাচ্ছে। এই জাহাঙ্গীর প্রতিদিন চলাচ্ছে কয়েক লাখ টাকার জুয়া খেলা। কিছুদিন আগে জুয়া খেলে প্রায় দুই লাখ টাকা জিতেছিলো যশোর কলেজ রোডের মানিক। ওই টাকা জিতে রাত ২ টা ৩০ মিনিটে মানিক চলে যেতে চাইলে মিন্টু ও জাহাঙ্গীর, তার ভাই রাজা বাদশা সম্রাট ও সুজন, ইমরানসহ কয়েকজন মানিকের উপরে হামলা করে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় মানিকের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ছুটে আসলে জাহাঙ্গীর গং পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা মানিকের কাছে জানতে চাইলে মানিক এলাকাবাসীর কাছে জুয়ার বিষয় স্বীকার করেন এবং হামলাকারীদের নাম বলেন।
৪ মার্চ রাতে বলাডাঙ্গা গোবিন্দ মোড়ে ঘোলা মতির ডেরায় জুয়া খেলে ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা জেতেন ঝিনাইদহ বারোবাজার থেকে ৫ জনের একটি জুয়াড়ি দল। তারা গভীর রাতে টার্মিনালে আসলে তাদের কাছে থাকা টাকা ছিনতাই করে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে পরিহবহন শ্রমিক ইনিয়ন নেতা জাহাঙ্গীর, তার ভাই বাদশা, সুজন, বিপ্লব, ইয়াছিন, আল আমিন ও ইমরান। ৪ মার্চ রাতে এই টাকা ছিনতাই নিয়ে টার্মিনাল এলাকায় তুমুল হট্টোগোল ও হৈচৈ শুরু হয়। জেতা টাকা ও নিজেদের ৭২ হাজার টাকা খুইয়ে জুয়াড়িরা ফিরে যায়।
ওই ঘটনায় দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।স্থানীয়দের অভিযোগ, টার্মিনাল ভবনের মধ্যে প্রতিদিন রাত ১১ টার পরে জাহাঙ্গীরের ভাই বাদশা ও ছোট ভাই রাজা নাইটগার্ডের নাম ভাঙ্গিয়ে জুয়ার বোর্ড পরিচালনা করেন। এলাকাবাসী কেউ কিছু বলতে সাহস পাননা জাহাঙ্গীরের ভয়ে। পাশের সৌখিন পরিবহন কাউন্টার ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছে জুয়ার আড্ডা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই অবৈধ কারবার।
এছাড়া জুয়া খেলা শুরু করেছে অব্দুল হালিম ওরফে দাদা ভাই ও গাজা মুকুল। এদিকে রাসেল ও কেসমত সৌখিন পরিবহন কাউন্টার ভাড়া নিয়ে জুয়ার রমরমা ব্যাবসা চালাচ্ছেন। কেউ কিছু বলতে সাহস পায়না। কলব্রিজ খেলার নাম দিয়ে চলছে তিন তাশ কাট্টি।
খেলা জেতার আশায় খোয়া যাচ্ছে জুয়াড়িদের হাজার হাজার টাকা। আর পকেট ভরছে রাসেল।স্থানীয় সাধারণ শ্রমিক ও এলাকাবাসী ছিনতাইকারী জুয়া বোর্ড পরিচালনা করা চক্রকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃচৌগাছা বাড়ীয়ালী হাউলি বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মাসুদ পারভেজ
Leave a Reply