নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ নারী দিবসে শুভেচ্ছা-সকল মা নারীর কলিজার ভিতরে দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে😭
মানুষ হয়ে জন্মেছি মানুষ আর হলাম কোথায়? বুকভরা অভিমান আর কষ্ট নিয়ে মৃত্যুর সাথে লড়াই করতে করতে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনে নিষ্ঠুর এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলো মাগুরার ছোট বাচ্চা মেয়েটি😭
তার বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল বাচ্চা মেয়েটি।
ফিরতে রাত হয়ে যাবে বিধায় বড় বোন বলেছিল এর পরদিন বাড়িতে যাইও। বড় বোন কিছুক্ষণের জন্যে পারিবারিক কাজে বাইরে গিয়েছিল।
মেয়েটি'র বোনের রুমে গুটিসুটি হয়ে শুয়ে ছিল বেট বিছানায়। ঠিক সেই সময়ে তার ছোট্ট শালিকার দুলাভাইও ছিল বড় বোনের রুমে। বড়বোন ভেবেছিল তার হাসবেন্ড যেহেতু আছে তাহলে আর আমার ছোট বোনের সমস্যা হবে না। 'ইনশাআল্লাহ'
কিন্তু দুপুরের দিকে বড় বোন বাসায় এসে দেখে রুমে ঘরের লাইট নিভানো, ঘুটঘুটে অন্ধকার। তড়িঘরি করে লাইট জ্বালিয়ে দেখে তার আদরের ছোট বোনটা এলোমেলোভাবে পড়ে আছে, চেহারাটা ফ্যাকাশে,
বড় বোন বুঝতে পারেনা কি হয়েছে তার আদরের ছোট্ট বোনটার সাথে। অনেকক্ষণ পর যখন বুঝতে পারে তখন অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে।
বড় বোন শাশুড়িকে হাতজোড় করে তার বোনটাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যে। কিন্তু শাশুড়ি নিষেধ করছিল ঘটনাটা যাতে বাহিরে জানাজানি না হয়। হলে না-কি মানসম্মানের অনেক ঘাটতি হবে তাদের। পরে
বহু কষ্টে শাশুড়িকে রাজি করিয়ে বড় বোন তার ছোট বোনটাকে নিয়ে আসে মাগুড়া হাসপাতালে ভর্তি করান। কোনরকম দায়সারা ভাবে হাসপাতালে দিয়েই শাশুড়ি পালিয়ে যায় সেখান থেকে।
হাসপাতালে আনার পরে চিকিৎসাধীন বাচ্চাটি'র অবস্থা আরও বেশি গুরুতর হয়ে পড়ে। ব্যথায় কাতরাচ্ছিল শুধু। বাচ্চা মেয়ে বয়স আর কত হবে? সাত কিংবা আট বছরের পদার্পণে। যৌনতার কিছুই বুঝে না, পুতুল নিয়ে খেলার বয়স তার। মেয়ের মা এবং বোনের সন্দেহ দুলাভাই সজীব এবং শ্বশুর হিটুর প্রতি। জোরালো সন্দেহ দুলাভাই সজীবের প্রতি যেহেতু তার রুমেই ছিল বাচ্চা মেয়েটা। তৌহিদী জনতা এখন এই বাচ্চা মেয়েটার কি দোষ দিবে? তার তো ওড়না পড়ার বয়সও হয়নি।
ওড়না পড়ার বয়স হলে নাহয় ওড়নার দোহাই দিয়ে দায়সারাতে পারত।
তারা কি এবারেও ধ*র্ষকের পক্ষ নিয়ে ফুলের মালা দিয়ে বরন করে আনবে?মেয়ের মা এবং বোন মিলেই এখনও অসহায়ের মত পড়ে আছে হাসপাতালের ব্যাড বিছানায়। তাদেরকে সাহায্য করতে কোন তৌহিদী জনতা আসেনি,আসেনি কোন নারীবাদী সংগঠন। বাচ্চা মেয়েটার মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো। ব্যথায় একটু পর পর ককিয়ে উঠতেছে শুধু। বড় বোন একপাশে হাতে ধরে দাড়িয়ে আছে। মেয়েটার মা মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর আশ্বাস দিচ্ছে-সব ঠিক হয়ে যাবে মা,কিন্তু কিছুই তো ঠিক হইল না এর দায় কে নিবে!!।
আরও পড়ুনঃ বকশিগঞ্জে নাশকতা মামলায় দুই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
উপদেষ্টা:
প্রকাশক: মোছাঃ খাদিজা আক্তার
বিথী
সম্পাদক: আফজাল শরীফ
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদক: মোঃ আমিনুল ইসলাম বাহার
সহকারী বার্তা সম্পাদক: মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জব্বারগঞ্জ বাজার,
বকশীগঞ্জ, জামালপুর
Copyright © 2025 দশানী ২৪. All rights reserved.