অনলাইন ডেস্কঃ
নতুন আত্মপ্রকাশ করা রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) কারা অর্থ দিচ্ছেন এবং ইসলামী ছাত্রশিবি’র প্রতিদিন তিন লাখ টাকা’র ইফতা’র আয়োজনে’র অর্থ কোথায় পায়, সেই প্রশ্ন করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
আজ শুক্রবা’র বিকেলে রাজধানী’র নয়া পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রদলে’র নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলে’র সভাপতি রাকিবুল ইসলাম (রাকিব) ও সাধা’রণ সম্পাদক নাসি’র উদ্দীনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বলেন, দেশে’র কিছু ধনী ব্যক্তি এনসিপিকে অর্থায়ন করেছেন বলে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন দলটি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। অন্যদিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরে’র সাধা’রণ সম্পাদক (নুরুল ইসলাম) গণমাধ্যমকে তাদে’র ইফতা’র কর্মসূচিতে দৈনিক তিন লাখ টাকা ব্যয়ে’র কথা জানিয়েছেন।
এ দুই প্রসঙ্গে ছাত্রদল নেতারা প্রশ্ন তুলে বলেন, দেশে’র কোন ধনী ব্যক্তিরা এনসিপিকে অর্থায়ন করেছেন এবং সেই অর্থায়নে’র বিপরীতে ওই ধনী ব্যক্তিরা কী ধ’রনে’র প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন? আ’র দৈনিক তিন লাখ টাকা ব্যয় হলে ৩০ দিনে’র ইফতা’র আয়োজনে শিবিরে’র অন্তত ৯০ লাখ টাকা লাগবে। সাধা’রণ একটি শিক্ষার্থীদে’র সংগঠন হিসেবে শিবি’র এ টাকা কীভাবে উপার্জন করেছে, কিংবা ওই টাকা’র উৎস কী?
প্রসঙ্গত গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র–তরুণদে’র উদ্যোগে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি’র (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলামে’র একটি সাক্ষাৎকা’র গতকাল বৃহস্পতিবা’র প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা ‘রয়টার্স। তাতে নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশজুড়ে অনেক ‘সম্পদশালী’ (অ্যাফ্লুয়েন্ট) ব্যক্তি তাঁদে’র দলকে অর্থ দিয়ে সহায়তা ক’রছেন।
ছাত্রদলে’র সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদে’র এক প্রশ্নে’র জবাবে সংগঠনে’র সাধা’রণ সম্পাদক নাসি’র উদ্দীন বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান প’রবর্তী সময়ে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারা গণ-অভ্যুত্থানে’র মালিকানা একক ইজারাদা’র হিসেবে ছিনতাই করেছেন। অভ্যুত্থান প’রবর্তী সময়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে’র কথা বলে তারা ইতিমধ্যে একটি রাজনৈতিক দলও গঠন করেছেন।’ নতুন এই দলে’র নেতৃত্ব নির্বাচন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইসলামী ছাত্রশিবিরে’র বিষয়ে ছাত্রদল নেতা নাসি’র উদ্দীন বলেন, ‘শিবিরে’র সাধা’রণ সম্পাদক গতকাল গণমাধ্যমকে বলেছেন, তারা প্রতিদিনই ইফতারে তিন লাখ টাকা করে ব্যয় ক’রছেন। যদি তিন লাখ করে প্রতিদিন ব্যয় করা হয়, তাহলে ৯০ লাখ টাকা ব্যয় ক’রছেন। এই ৯০ লাখ টাকা একটি সাধা’রণ শিক্ষার্থীদে’র সংগঠন হিসেবে কীভাবে উপার্জন ক’রছে, তাদে’র অর্থায়নে’র উৎস কী, এটাও জানতে চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন ছাত্রদলে’র সভাপতি রাকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, ৫ মার্চ রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সা’রজিস আলমে’র সঙ্গে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে’র শিক্ষার্থীদে’র বিরোধে’র শুরু জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদে’র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বনাম বেস’রকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে চলমান অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকে। দুঃখজনকভাবে সা’রজিস সেই ঘটনাকে রাজনৈতিক রূপ দিতে ছাত্রদলকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট করেন। তাঁ’র দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত।
ছাত্রদল সভাপতি আ’রও বলেন, সা’রজিস আলম নর্থ সাউথে’র শিক্ষার্থীদে’র ‘সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতকারী এবং টোকাই’ হিসেবে উল্লেখ করে দেশে’র সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে’র শিক্ষার্থীদে’র অপমান করেছেন। ছাত্রদল তা’র ওই ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও বিদ্বেষমূলক’ বক্তব্যে’র তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। সা’রজিসে’র বক্তব্যে জুলাই–আগস্টে’র গণ-অভ্যুত্থানে বেস’রকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে’র শিক্ষার্থীদে’র নজি’রবিহীন ত্যাগকে মর্যাদাহানি করা হয়েছে। সা’রজিসে’র এই বক্তব্য প্রত্যাহারে’র দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
লিখিত বক্তব্য শেষে’র প’র সাংবাদিকদে’র এক প্রশ্নে’র জবাবে ছাত্রদলে’র সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি’র (এনসিপি) নেতা সা’রজিস আলম, হাসনাত আবদ্ল্লুাহ, মাসুদ খন্দকা’রসহ আ’রও দুই-একজন, তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই ছোটখাটো ঘটনায় ছাত্রদলে’র নাম জড়ায়। অথচ সব ক্যাম্পাসেই ছাত্রদল ইতিবাচক রাজনীতি ক’রছে। দেশে’র কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই গত সাত মাসে ছাত্রদলে’র কোনো নেতা-কর্মী’র দ্বারা অপ্রীতিক’র ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদে’র সিনিয়’র সহসভাপতি আবু আফসা’র মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, সহসভাপতি এইচ এম আবু জাফ’র, সিনিয়’র যুগ্ম সাধা’রণ সম্পাদক শ্যামল মালুমসহ ছাত্রদলে’র বিভিন্ন পর্যায়ে’র কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে রাজশাহী পুঠিয়াতে বিক্ষোভ মিছিল
Leave a Reply