বিশেষ প্রতিবেদক
যশোরের শারসা উপজেলার নিজামপুর ইউপির কন্দপপুরে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির বাড়ি সীমাহীন তাণ্ডব চালানো মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামি তোতাকে মঙ্গলবার দুপুরের পর আটক করেছে প্রশাসনিক বাহিনীর সদস্যরা। এলাকার সংঘবদ্ধ চক্র ১২ জানুয়ারি রাতে বিএনপির সভাপতি কামরুল ইসলামের বাড়ি আক্রমণ করে লুটপাট, ভাঙচুর, আগুন ধরিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। কামরুল ইসলাম মৃত সমশের সর্দারের ছেলে। তাকে বুধবার আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত রেজাউল ইসলামের ছেলে শহিদুল ইসলাম তোতা কামরুল, তার দুই ছেলে রুহুল কুদ্দুস রনি ও সাকিব কে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলো তোতা।
জানা গেছে, বিএনপির বহিস্কৃত আসাদুল ও তোতার নেতৃত্বে প্রায় ৪০:জনের একটি সন্ত্রাসী চক্র ঐ দিন রাত ৯ টার দিকে কামরুলের বাড়ি আক্রমণ করে। এরা তিনটি ঘরে লুটপাট করে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় এরা বোমাবাজি ও গুলি করে এলাকায় ভীতি সঞ্চার করে। সন্ত্রাসিরা নগদ দুই লাখ টাকা, স্বর্ণের চেইন, দুই জোড়া কানের দুল, বাজু, নুপুর, বিদেশী কম্বল, কাপড় চোপড়সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। ঘরের দরজা জানালা, ফ্রিজ, খাট পালঙ্ক, ড্রেসিং টেবিল, শোকেস, টেলিভিশন ভাঙচুর করে আগুন ধরায়। গোলায় রক্ষিত ২০ মন ধানসহ বস্তা নিয়ে গেছে।
একই সাথে সন্ত্রাসীরা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কামরুল ইসলামের মুরগি ফার্মে ৪০০ মুরগি লুট করে। এর পর বাচ্চা মুরগিসহ ফার্মে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এদিন আগত সন্ত্রাসীরা রিনা ও আজগর কে মারধোর করে।
৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি কামরুল ইসলাম কন্দপপুরের বাসিন্দা।সে ঘটনায় মুরগির বাচ্চা পুড়ে একাকার হয়। ঘরের কাপড় চোপড় লুট করে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয় আগতরা। রু। রুহুলের স্ত্রী বিউটি খাতুন শিশু সন্তান কে নিয়ে সে দৌড়ে ছাদে চলে যায়। দরজা বন্ধ করায় এযাত্রায় মা ও শিশু প্রাণে বাঁচতে পারে। তবু তারা বোমা মারতে উদ্যোত হয়।
গ্রামবাসী জানায়, রেজাউল ওরফে সোনা সর্দারের দুই ছেলে আসাদুল ও তোতা, ঝোড়োর ছেলে মোহাম্মদ আলী, গোলাম মোস্তফার ছেলে কবির, সিদ্দিক আলীর ছেলে শাহীন, জব্বারের ছেলে হাবিবুর, আকের আলী পিং সুবিদের ছেলে আকের আলীসহ প্রায় ৪০/৫০ জন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কামরুল ইসলামের বাড়ি তান্ডব চালায়।
জানা গেছে, টিসিবির কার্ড বরাদ্দ ও বন্টন নিয়ে মনোমালিন্যর সূত্র ধরে একই গ্রামের আসাদুল ও তোতা এবং তাদের দোসররা নিজেদের বিএনপির হর্তা কর্তা দাবি করে এই লোমহর্ষক লুটপাট, আগুন দিয়ে পোড়ানো, সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে।
একই সাথে দুই দফা সন্ত্রাসীরা চায়ের দোকানে তান্ডব চালায়। মৃত ফকির চান সর্দারের ছেলে রবিউলের চায়ের দোকানে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার বিচালি গাদায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভুগি শারসা থানায় অভিযোগ করেন। এস আই আলমগীর হোসেন অভিযোগ তদন্ত করছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ চক্রের হর্তা কর্তারা মোবাইলে কামরুল ও তার লোকজনকে হুমকি দিচ্ছিল ।
আরও পড়ুনঃ গাইবান্ধায় ধর্ষণের বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ
Leave a Reply