মালিকুজ্জামান কাকা
কেয়ার হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডক্টরস ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সেন্ট্রাল হাসপাতাল।
অভিযোগ রয়েছে, ২০২৪ সালের ২ জুলাই যশোর সদর উপজেলার সিরাজসিংহা গ্রামের সোহেল রানার প্রসূতি স্ত্রী মারিয়া আক্তার ওরফে তিশা আক্তার সেন্ট্রাল হসপিটালে ভর্তি হন। ওইদিন সেখানে তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডাক্তার ফারজানা আক্তার সুমি তার সিজারিয়ান অপারেশন করেন। ওইসময় তার পেটে গজ ব্যান্ডেজ থেকে যায়। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা সিভিল সার্জন অফিসে লিখিত অভিযোগ করলে সিভিল সার্জন মাহমুদুল হাসান তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তখন সিভিল সার্জন অফিসের এক কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়া হয়।
সরকারি বিধি অনুযায়ী কোনোভাবেই বাসা বাড়িকে স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু অদৃশ্য ক্ষমতায় একটি বাড়ি হয়ে গেছে কেয়ার হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ১০ বেডের একটি ক্লিনিকের অনুমোদনের ক্ষেত্রে শুধু রোগীর ওয়ার্ডের জন্য প্রতি বেডে ৮০ বর্গফুট করে মোট ৮০০ বর্গফুট জায়গা লাগবে। সেই সঙ্গে ওটি রুম, পোস্ট ওপারেটিভ রুম, ওয়াস রুম, ইনস্ট্রুমেন্ট রুম, লেবার রুম, ডক্টরস ডিউটি রুম, নার্সেস ডিউটি রুম, অপেক্ষমাণ কক্ষ, অভ্যর্থনা কক্ষ, অফিস কক্ষ, চেইনঞ্জিং রুম, স্টেরিলাইজার রুম, ভান্ডার রুমসহ সামঞ্জস্যপূর্ণ অন্তত ১৩টি রুম থাকতে হবে। এই নিয়মের অর্ধেকও মানা হয়নি। তাহলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কোন কর্তাকে খুশি করে লাইসেন্স বাগিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি তা নিয়েও মণিরামপুরের ক্লিনিকপাড়ায় নানামুখি কথা প্রচার আছে। কেউ কেউ বলছেন যশোর সিভিল সার্জন অফিসে মণিরামপুরের ফাইল যার দায়িত্বে সেই এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স পাওয়ার নেপথ্যের কারিগর।
মান্ধাতার আমলের পদ্ধতিতে পরিচালিত ডক্টরস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশে কর্তৃপক্ষ তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছেন। তারা দাবি করেন. অত্যাধুনিক প্যাথলজি ল্যাব, উন্নত আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ডিজিটাল এক্সরে, ৬ চ্যানেল ইসিজি দিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। সরেজমিনে যার কোনোটি চোখে পড়েনি।
সচেতন মহল বলছে, স্বাস্থ্য সেবার নামে কিছু ব্যক্তি ব্যবসার জন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল খুলে বসে আছে। প্রায় সময় এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও কখনো জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বড় ধরনের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুনঃ প্রভাতী সংঘ কমিটি অনুমোদনে বেনাপোলে অনিয়ম
উপদেষ্টা:
প্রকাশক: মোছাঃ খাদিজা আক্তার
বিথী
সম্পাদক: আফজাল শরীফ
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ হারুন-অর-রশিদ
বার্তা সম্পাদক: মোঃ আমিনুল ইসলাম বাহার
সহকারী বার্তা সম্পাদক: মুহাম্মাদ লিটন ইসলাম
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়:
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন জব্বারগঞ্জ বাজার,
বকশীগঞ্জ, জামালপুর
Copyright © 2025 দশানী ২৪. All rights reserved.