মালিকুজ্জামান কাকা
যশোরের মণিরামপুর পৌরসভায় তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পে ২৮ লাখ টাকার সিংহভাগই কোটেশনের মাধ্যমে ভাগ-বাটোয়ারা করার অভিযোগ উঠেছে।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী উত্তম মজুমদারের নেতৃত্বে এই অনিয়ম হয়েছে এই দাবি স্থানীয়দের।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের অক্টোবর মাসে পৌরসভার সাধারণ তহবিল থেকে তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ২৮ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়।
প্রকল্প গুলো হলো, ১. মোহনপুর বটতলার পাশে মহাসড়কের ফুটপথে যাত্রী ছাউনি সংস্কার ও মিনি পার্ক নির্মাণ, ৮.৫৩ লাখ টাকা বরাদ্দ, ২. পৌরসভার গেটের সামনে ফুটপথে পার্কিং টাইলস স্থাপন, ৯টি সিসি ক্যামেরা ও ৩২টি বৈদ্যুতিক বাল্ব ফিটিংস, ৯.৬২ লাখ টাকা বরাদ্দ ও ৩. পৌর ভবনের সামনে পানির ফোয়ারা, লাইটিংস ও ফুলের গাছ লাগানো, ৯.৬৮ লাখ টাকা বরাদ্দ।
নিয়ম অনুযায়ী, এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে টেন্ডার আহ্বান করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, টেন্ডার প্রক্রিয়া এড়িয়ে কোটেশনের মাধ্যমে নিজেদের সুবিধামতো ঠিকাদারদের (মেসার্স ফয়জুল ইসলাম, মেসার্স সুমি এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স মোল্যা ট্রেডিং) কাজ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, প্রকল্প গুলোর ব্যয় অস্বাভাবিক বেশি দেখানো হয়েছে। যেমন, যাত্রী ছাউনির সংস্কারে মাত্র ২ লাখ টাকা খরচ। এখানে বরাদ্দ দেখানো হয়েছে ৮.৫৩ লাখ টাকা। একইভাবে, প্রতিটি ৫০০-৬০০ টাকার বৈদ্যুতিক বাল্বের মূল্য ১,৮০০ টাকা দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে কোটেশনে কাজ পাওয়া মেসার্স সুমি এন্টারপ্রাইজের মালিক সাইফুল ইসলাম ও মোল্যা ট্রেডিংয়ের মালিক মনিরুজ্জামান দাবি করেন, প্রকল্প গুলো পৌরসভা কর্তৃপক্ষই বাস্তবায়ন করেছে। তারা শুধু লাইসেন্স দিয়েছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী উত্তম মজুমদার জানান, পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্নার আগ্রহে প্রকল্প গুলো নেওয়া হয়।
নিশাত তামান্না বলেন, কাজের মান নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply