মালিকুজ্জামান কাকাঃ
চরম দুশ্চিন্তায় যশোর শহরের রিক্সাচালকরা। যাত্রী সংকট তীব্র। সারা দিন আর রাত ১১/১২ টা পর্যন্ত খেটে রিক্সা চালিয়ে আয় হচ্ছে ২০০, ২৫০ টাকা। কদাচিৎ ৪০০ টাকা হয়ে তাদের।
যশোর শহরে মসিয়ার দীর্ঘদিন রিক্সা চালায়। মসিয়ার রহমান (৬২)। তার পিতা পিতা জয়নাল মোড়ল। জন্ম যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রোহিতা ইউনিয়নের সরসকাঠি গ্রামে।
যশোর শহরে ২৯ বছর তিনি রিক্সা চালাচ্ছেন। অতীতে হয়নি এমন মন্দা। সহরের চোরমারা দীঘির পাড়ে ছিলেন। কিন্ত ভাড়া আর সংসারের খরচ কুলিয়ে উঠতে না পেরে এখন ঝিকরগাছা রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় ঘর তুলে বসবাস করছেন। তিনি যশোর জিলা স্কুলের অর্থাৎ পৌর ৫ নং ওয়ার্ডের ভোটার।
মসিয়ার রহমান ২২ ফেব্রুয়ারি বিকালে জানালেন ২৫০, ৩০০ টাকা আয় হচ্ছে। মাসের ২/১ দিন ৪০০ টাকা আয় হয়। তাও হচ্ছে কম দিন বা হাতে গুনে গুনে।
যশোর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের রায়পাড়া ইসমাইল কলোনির আরেকজন রিক্সাচালক আসমত আলী। তার পিতার নাম হজরত আলী। দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে তিনি এই শহরে রিক্সা চালান। বললেন, সেদিন আর নেই রে ভাই। মাসে একদিনও মাংস জুটছে না। ২/৩০০ টাকা আয় হয়। চাল, ঝাল, তরকারি, তেল মসলা কিনবো না মাংস কিনবো।
জানা গেছে, যেখানে ৫ হাজার রিক্সা বেশী হয়ে যায়, সেখানে যশোর শহরে এখন ৫০ হাজার বা তারও বেশী রিক্সা চলছে। ফলে যাত্রীর সংখ্যা না বাড়া এবং কয়েক গুন রিক্সা বেড়ে যাওয়ায় ভাড়ায় এই নাজুক দশা। এ কারণে রিক্সা চালকরা এখন চরম দুশ্চিন্তায়।
আরও পড়ুনঃ নওয়াপাড়া ফাতেমা (প্রাঃ) হাসপাতালে ভুল অপারেশনে রোগীর মৃত্যু
Leave a Reply