মাসুদ রানা জামালপুর প্রতিনিধি : স্থানীয় বিএনপি দলীয় কার্যালয়, বাড়িঘর ও ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান ভাঙছুরের প্রতিবাদে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার সানাাকৈর এলাকায় আব্দুল আউয়াল চেয়ারম্যানের বাড়িতে আজ শুক্রবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মহাদান ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব বক্তব্যে বলেন,বিল দখলকে কেন্দ্র করে মহাদান ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লাঞ্জু ও দল থেকে বহিস্কৃত বিএনপি নেতা ওয়াদুদ ও তার লোকজন ৮ নং মহাদান ইউনিয়ন বিএনপির দলীয় কার্যালয়, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের প্রতিবাদে আমরা সংবাদ সম্মেলন এর আয়োজন করি
তিনি আরো বলেন, দলীয় কার্যালয়ে ঝুলিয়ে রাখা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারুণ্যের প্রতীক তারেক রহমান, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদারের ছবি ভাঙচুর ও ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এলাকাবাসী লাঞ্জু ও ওয়াদুদ মেম্বারের তাণ্ডবে আতঙ্কে রয়েছে। দুজনের ক্রাশ থেকে এলাকাবাসী মুক্তি চায়।
মহাদান ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, জামালপুর জেলা বিএনপির জলবায়ূ ও স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল বলেন, বিল দখল কে কেন্দ্র করে গত দুইদিন ধরে স্থানীয় বিএনপি নেতা লাঞ্জু ও ওয়াদুদ মেম্বার তার লোকজন দিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির দলীয় কার্যালয়, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে। এলাকাবাসী এখন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
সানাকৈর গ্রামের মোকাদ্দেস বলেন, বাজারে ইফতারি বিক্রির জন্য দোকান বসিয়েছিলাম। দোকানের মালামাল মাটিতে ফেলে দেয় নাঞ্জুর লোকজন।
সানাকৈর পূর্বপাড়া গ্রামের মনির উদ্দিন বলেন, আজ শুক্রবার দুপুরে লাঞ্জু ও ওয়াদুদ মেম্বার তার লোকজন দিয়ে আমার বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাট করেছে।
সানাকৈর বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী মতিউর রহমান বলেন, আমি দোকানে গহনার কাজ করতে ছিলাম। এ সময় ওয়াদুদ ও লাঞ্জুর লোকজন আমার দোকানে হামলা করে সোনা গয়না নিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের সানাকৈর এলাকায় গত বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার বিএনপির আব্দুল আউয়াল চেয়ারম্যান ও লাঞ্জু-ওয়াদুদ এ দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছিল। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।
আারও পড়ুনঃ গড়বকশীগঞ্জে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ সভা
Leave a Reply