মালিকুজ্জামান কাকাঃ
আওয়ামীলীগের সেই ছিচকে পুঁচকে
এখনো কেন ওরা মাঠে আরে হাঁক ডাকে
দুশ্চিন্তায় মেঠো মামা বিড়ি টানে সোব্দুল
খোঁজে জানে ওরা বটে বিএনপির গোকুল
হা হা করে হাসে তাহলে রাজনীতির ধারা এই
যেন কুকুর বিড়াল তাড়ায় করে ছেই ছেই
কতই বোকা এই সরল ভুমির সবুজ পাবলিক
হয়রানি সেরে ক্ষমতাশালী হাসে ফিক ফিক
জনতার তবে মুক্তি নেই হয়রানির বোঝা ঘাড়ে
সে সময় বিএনপি, আজ লীগ নেতা বলে ছাড়ে
চাঁদা লুট মারধোর আরো কত ব্যাথার অসম্মানি
কষ্ট মৃত্যু, বাড়ি ছেড়ে দূর ডাক, মামলার হাতছানি
সমাজ মুখ ফিরিয়ে নেয় খামোখা বেজায় হাসাহাসি
পুলিশ বলে কি বলি ভাই নস্ট পানিতে দিয়েছি ডুব
হাত পা বাঁধা, ওহে বলি মানুষ তোমায় ভালবাসি খুব।
যশোরে রাজনীতির মাঠ বড্ড গোলমেলে। গ্রামে গ্রামে চলছে বিএন পির গ্রূপিং লবিং। আর তার জের ধরে মারামারি হানাহানি লেগেই রয়েছে। লুটপাটে দিশেহারা মানুষ। এ কেমন কথা।
যশোরের গ্রামের মানুষ মোটে ভাল নেই।
বিনা কারণে মানুষ রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। চাঁদাবাজি, মারধোর, ফসল কর্তন, হুমকি ধামকি, জোর করে জমি লিখে নিয়ে টাকা না পরিশোধ অভিযোগ রয়েছে গ্রাম ইউনিয়নের মাথাচাড়া দেওয়া রাজনৈতিক আঞ্চলিক নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে। এসব কারণে অনেকেই ঘর বাড়ি ছাড়া রয়েছেন।
বাউল সেবী তাই গাইলেন,
ঘরে ঘরে বনে আছেন রাজনৈতিক হর্তা কর্তা
কপাল পোড়া, ঘরে ফেরা মানুষের নেই নিরাপত্তা।
যশোর জেলার শার্সা, বেনাপোল পোর্ট থানা, ঝিকরগাছা, বাঘারপাড়া, চৌগাছা, অভয়নগর, মনিরামপুর, কেশবপুর থানা উপজেলার গ্রামে গ্রামে এখন সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীন। ছিনতাই চুরি, লুটপাট, চাঁদাবাজি, হুমকি ধামকি, মারধরে দিশেহারা মানুষ।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ নিচ্ছেনা পুলিশ। বেশিরভাগ গ্রামে দলীয় কোন্দলে সাধারণ মানুষ বিপর্যস্ত। মৃত্যু, জখম, মামলা হামলা লুটপাট অহরহ হচ্ছে।
কিল খেয়ে নীরবে হজম করছে মানুষ। মাদক কারবারি, চাঁদা বাজে ছেয়ে আছে গ্রাম। হর্তা কর্তারাএসব অসমাজিক অপ কর্মকারীদের দিয়ে অবৈধ আয়করছে বলে ব্যাপক জনমত রয়েছে।
এসব অসামাজিক অপতৎপরতা বন্ধে প্রশাসনের ধারাবাহিক অভিযান দাবি করেছেনযশোরের গ্রামের মানুষ।
আরও পড়ুনঃ যশোর নামেজ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয় সভাপতি নাজমুল হোসেন
Leave a Reply