মোহাম্মদ দুদু মল্লিক শেরপুর প্রতিনিধি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখা’র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন-২০২২ কে কেন্দ্র করে এসএমএ আবদুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম এর অসত্য বক্তব্য ও মিথ্যা তথ্য পরিবেশনের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন,
উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের পরীক্ষিত নেতাকর্মিদের পক্ষে ৩ বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা।
২৫মে বুধবার দুপুরে শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের পরীক্ষিত নেতৃবৃন্দের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ৩ বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা।
এসময় শেরপুর জেলা কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুল কাদির,
আওয়ামীলীগ নেতা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ আব্দুস সামাদ,আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন,
নুরুল ইসলাম তোতা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ একেএম বেলায়েত হোসেন,সাবেক অর্থ সম্পাদক আলহাজ মহিউদ্দি মোল্লা ওরফে বাবুল মোল্লা, সাবেক সহ সভাপতি জাকির হোসেন, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম দুলাল,
গৌরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা তমির হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদির, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ,
উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম রুকন,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফারুক আহম্মেদ, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা জানান, গত ২৩ মে শেরপুর প্রেসক্লাবে এসএমএ ওয়ারেজ নাইম সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে যে বিভ্রান্তিমূলক, অসত্য, অসম্পুর্ণ,বানোয়াট, কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন তথ্য উত্থাপন করে সাংবাদিকদের দিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
প্রকৃতপক্ষে নাইম ১৯৯০ পরবর্তী স্বৈরাচার বিরোধী কোন আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন না। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের পক্ষে কোন কাজ করেনি।
সে ২০০১ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করে প্রাথমিক সদস্য পদ লাভ করে ২০০৮ সালে শেরপুর-৩ আসনের মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে নৌকার বিজয় ঠেকাতে বিদ্রোহী প্রার্থী খন্দকার মো. খোররুমের কলস প্রতীকের পক্ষে অর্থ প্রদান সহ কাজ করেছেন।
শুধু তাই নয় তিনি নিজের প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে অগণতান্ত্রিক ও অসাংগঠনিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামীলীগকে কোন্দল সৃষ্টি করে দলের মধ্যে আওয়ামীলীগ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিপরীত মতাদর্শের লোকেদের অনুপ্রবেশ ঘটানো ও দলের দীর্ঘদিনের পরিক্ষিত নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় জেল খাটানোসহ ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে এক তর্ফা কমিটি গঠন করে আওয়ামী লীগের অপূরণীয় ক্ষতি করেছেন।
শুধু তাই নয়। নাইম ২০১৪ সালের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের পূর্বে ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ৮১ জন দলীয় নেতার নামে ২টি মিথ্যা ও স্বরযন্ত্রমূলক মামলা রুজু করে দীর্ঘদিনের পরিক্ষিত এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও বিএনপি জামাত জোট বিরোধী আন্দোলনের ত্যাগী নির্যাতিত ব্যক্তিদের জেল হাজতে প্রেরণ করে একতর্ফাভাবে সম্মেলন সম্পন্ন করেন। সম্মেলনের শেষে তিনি নিজেই সেই মামলা প্রত্যাহার করে নেন,
যা ওই মামলাটি মিথ্যা ও ঘড়যন্ত্রমূলক ছিল বলে প্রমাণ করে। এছাড়াও তিনি ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর -৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে পরাজিত করতে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করেন।
যা উক্ত আসনের সংসদ সদস্য অবগত আছেন। এরশাদ বিরোধী গণআন্দোলনে শেরপুরের সংগ্রামী ছাত্রলীগ নেতা আশিষ দত্ত ভোলাকে ১৯৮৮ সালে নির্মমভাবে হত্যা করে জাসদ ছাত্রলীগ। ওই মামলায় নাইম এফআইআরে ২৪ নং এবং চার্যশিটে ২০ নং আসামী ছিলেন।
নাইম ফ্রিডম পার্টির সাথে কোন সম্পৃক্ততা ছিল না বলে দাবী করেছেন। কিন্তু ১৯৯০ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কোথায় ও কোন দলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন তা উল্লেখ করেননি।
এছাড়া নাইম৷ অগঠনতান্ত্রিকভাবে ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে তার বাসার দারোয়ান ও রাইস মিলের কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যারা কোন কালেই আওয়ামীলীগে ছিল না।
দীর্ঘদিনের পরিক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে তিনি বিগত ২টি ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন বানিজ্য করেছেন।
বিগত ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন বানিজ্যের মাধ্যমে হাতীবান্দা ইউনিয়নে ওয়ার্ড বিএনপির ২১ নং সদস্য হাজী ওবায়দুল ইসলামকে এবং ধানশাইল ইউনিয়নে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুর রহমান এনামুলকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দেন।
উক্ত মনোনয়ের রেজুলেশনে তিনি দলীয় সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান লেবুর স্বাক্ষর জাল করেন।
এছাড়া গৌরীপুর ইউনিয়নে তার অনুগত বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম পলাশের পক্ষে প্রচারণা চালান। ফলে উক্ত ইউপিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাত্র ২৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
কাজেই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতির নিকট ছাত্রলীগ নেতা হত্যাকারী, ফ্রিডম নেতা নাইমকে আজীবনের জন্য আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কারের দাবী জানান।
আরও পড়ুনবান্দরবানে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা-২০২১ অনুষ্ঠিত।।
Leave a Reply