ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি :
জামালপুরের ইসলামপুর ২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হতে না হতেই ২য় পর্যায়ের অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর কাজ নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে কাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সভাপতিরা।
জেলার ইসলামপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৫৬টি প্রকল্পের মাধ্যমে ২ হাজার ৮শ ১৪ জন হত দরিদ্র শ্রমিক দিয়ে কাজ শুরু করার কথা।
৪০ কর্মদিবসে প্রতিদিন শ্রমিক প্রতি ৪০০ টাকা হারে মজুরী পাবেন। প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ৪ কোটি ৫০ লাখ ২৪ হাজার টাকা ও ননওয়েজ কষ্ট প্রকল্পের ২০ লাখ ৬৬ হাজার ৯১৫ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বর শ্রমিক নির্বাচন করে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের জব কার্ড বিতরণ করে ১লা জানুয়ারী ১ম পর্যায়ে ৪০ দিনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে বিল উত্তোলন করে নেয়।
তারই ধারাবাহিকতায় ২০২১-২২ অর্থ বছরের ২য় পর্যায়ে গত ৯ মে শ্রমিকদের জব কার্ড বিতরণ করে প্রকল্প এলাকায় সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে কাজ শুরু করার কথা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইসলামপুর উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নে ২৮ থেকে ৩২ নং ৫টি প্রকল্পের মধ্যে কোন প্রকল্পেই তালিকাভূক্ত শ্রমিক দেখা যায় নি।
৩২নং প্রকল্প পশ্চিম ঢেংগারগড় মামুন মাষ্টারের বাড়ী হতে বাদশা মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা মেরামত কাজে ৪০জন শ্রমিক থাকার কথা থাকলেও সেখানে কোন শ্রমিক পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে প্রকল্পের সভাপতি মোঃ সফিকুর রহমানকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান চেয়ারম্যান বলতে পারে।
চেয়ারম্যানকে সাক্ষাত জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন ওই প্রকল্পের সভাপতি ভুল বলছে। আমার কোন দায়বদ্ধতা নেই।
পর্যায়ক্রমে ৩১ প্রকল্পের পূর্ব গামারিয়া শাহালমের বাড়ী হতে আনছাবের বাড়ী পর্যন্ত মেরামত সেখানেও কোন শ্রমিক পাওয়া নি।
মিরু নামে এক শ্রমিক জানান, গত ২ দিনে ৪ ট্রাক মাটি রাস্তার দুই মাথায় মাটি ফেলে। ফেলে রাখা মাটি আমি লেবেল করছি।
২৯নং প্রকল্পে গিয়ে খট্টু নামে একজন শ্রমিককে মাটি লেবেল করতে দেখা যায়।
তিনি আরো জানান, দুলাল নামে মেম্বার আমাকে কাজ ধরিয়ে দিয়েছে।
এভাবে ২৮ ও ৩০নং প্রকল্পের কোন শ্রমিক পাওয়া যায়নি। ১ম পর্যায়ে নানা অনিয়মের মধ্য কাজ করে সমুদয় বিল উত্তোলন করে ।
গ্রামের এক প্রবাদ আছে আগের হাল যে দিকে যায় পরের হালও সেদিকে যায়। এ যেন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের মহোৎসব চলছে।
এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, চিরা চরিত ভাষায় বলেন, কাজ হবে না বিল পাবে না।
তার এ বক্তব্য প্রশাসনিক ভাষ্য। ১ম পর্যায়ে অভিযোগ থাকার পরেও সমুদয় বিল উত্তোলন করেছে বলে জানা গেছে।
Leave a Reply