এস.এম.জামাল উদ্দিন শামীমঃ ময়মনসিংহে ডিবির অভিযানে পর্নোগ্রাফিক সাইট পরিচালনা ও সংরক্ষণ করায় ৪টি ল্যাপটপ, ২টি মোবাইলসহ সংঘবদ্ধ চক্রের ১২ জন গ্রেফতার হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা শাখা ময়মনসিংহের অফিসার ইনচার্জ ফারুক হোসেন জানান, পুলিশ সুপার মাছুম আহমদ ভূঞার নির্দেশনা ও তত্বাবধানে মাদক, সন্ত্রাস, চুরি, ছিনতাইসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এরই ধারাবাহিকতায়।রবিবার ০৩ ডিসেম্বর রাত অনুমান ২.০০ ঘটিকার সময় ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানাধীন কেওয়াটখালী পাওয়ার হাউস রোডের ওয়াপদা অফিসের পিছনে জৈনক সেলিনা আক্তারের তিনতলা ভবনের নিচতলার পশ্চিম পাশের কক্ষে অভিযান পরিচালনা করে অনলাইনে পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত প্রতারক চক্রের ১২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি আভিযানিক দল।
গ্রেফতারকৃতরা হল: ১। মোঃ হাসান আলী (২৩), পিতা-মোঃ আঃ বাছেদ, মাতা-মোছাঃ হোসনে আরা খানম, সাং-দামপাড়া, থানা-মধুপুর, ২। মোঃ সবুজ খান (২০), পিতা-মোঃ দুদু খান, মাতা-মোছাঃ ফরিদা পারভীন, সাং-সত্তরবাড়ী, থানা-ঘাটাইল, ৩। মোঃ সজল (২৩), পিতা-মোঃ এনামুল হক, মাতা-মোছাঃ সোনা বানু বেগম, সাং-কিসমত সরদারপাড়া, থানা-ধনবাড়ী, ৪। মোঃ হুসেন আলী (২১), পিতা-মোঃ সফিকুল ইসলাম, মাতা-মোছাঃ হাসনা বেগম, সাং-গোলাবাড়ি, থানা-মধুপুর, ৫। মোঃ মনির হোসেন (২৩), পিতা-মোঃ আলম কাজি, মাতা-মোছাঃ ময়মুনা বেগম, সাং-সত্তরবাড়ী, থানা-ঘাটাইল, ৬। মোঃ জুয়েল মিয়া (২১), পিতা-মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, মাতা-মোছাঃ জহুরা বেগম, সাং-ধোপাখালি, থানা-ধনবাড়ি, ৭। মোঃ নাজিম উদ্দিন (২৪), পিতা-মোঃ নজরুল ইসলাম, মাতা-মোছাঃ নবিরন, সাং-সত্তরবাড়ি, থানা-ঘাটাইল, ৮। মোঃ রানা মিয়া (২১),পিতা-মোঃ আঃ হালিম, মাতা-মোছাঃ নাজমা বেগম, সাং-মধুপুর দামপাড়া, থানা-মধুপুর, ৯। হুমায়ুন কবির (২৯), পিতা-মোঃ আঃ বাছেদ, মাতা-মোছাঃ হোসনে আরা খানম, সাং-দামপাড়া, থানা-মধুপুর, ১০। মোঃ আরিফুল ইসলাম (২০), পিতা-মজিবুর রহমান, মাতা-মোছাঃ রাজিয়া বেগম, সাং-আউশনারা, থানা-মধুপুর, ১১। মোঃ মাজহারুল ইসলাম (২০), পিতা-মোঃ মিনহাজ উদ্দিন, মাতা-মোছাঃ মাফিয়া বেগম, সাং-হলদিয়া, থানা-মধুপুর, ১২। মোঃ জাকারিয়া (২৫), পিতা-মোঃ হাফিজুর রহমান,মাতা-মোছাঃ মমতাজ বেগম, সাং-কাইতকাই, থানা-মধুপুর, সর্ব জেলা-টাংগাইল।
সূত্রে জানা গেছে , তারা দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন দেশী বিদেশী নারী পুরুষের ফেইক আইডি’র মাধ্যমে নানা শ্রেণির ভুক্তভোগীদেরকে একাধিক পর্ণোগ্রাফিক সাইটে আমন্ত্রণ জানিয়ে সেখানে তাদের দুর্বল মুহুর্তের ছবি ও ভিডিও ধারণ করতো এবং পরবর্তীতে এসব ছবি ও ভিডিও দ্বারা তাদেরকে ব্ল্যাকমেইল করে বড় অঙ্কের অর্থ আত্মসাত করে নিতো এবং পর্নোগ্রাফিক ভিডিও সংরক্ষণ, অশ্লীল ছবি ও ভিডিও আদান-প্রদান, বিক্রয়, বিতরণ ও সরবরাহ করে যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় ও গণ-উপদ্রব সৃষ্টি করতো। অভিযানকালে তাদের কাছ থেকে এসব পর্ণোগ্রাফিক আলামতসহ ৪ (চার)টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ, ০২ (দুই) টি মোবাইল এবং পর্ণোগ্রাফির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
Leave a Reply