1. admin@dashani24.com : admin :
  2. alamgirhosen3002@gmail.com : Alamgir Hosen : Alamgir Hosen
  3. aminulbahar3331@gmail.com : Md. Aminul Islam : Md. Aminul Islam
  4. a01944785689@gmail.com : Most. Khadiza Akter : Most. Khadiza Akter
  5. afzalhossain.bokshi13@gmail.com : Md Haurn Or Rashid : Md Haurn Or Rashid
  6. liton@gmail.com : Md. Liton Islam : Md. Liton Islam
  7. r01944785689@gmail.com : Rashadul Islam Rony : Rashadul Islam Rony
  8. lalsobujbban24@gmail.com : Md. Shahidul Islam : Md. Shahidul Islam
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আজ কামালপুর মুক্ত দিবস রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় পেট্রল পাম্প মালিক অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা বকশীগঞ্জের রহিমা সালাম স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে পুরস্কার বিতরণ দিনাজপুরে বিএনপির মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণে আহত-৫.আতঙ্কে ফুলবাড়ী বাসী বকশীগঞ্জে ট্রাক – মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত নিখোঁজ সুবার দেখা মিলেছে প্রেমিকের সঙ্গে নওগাঁয় দিনাজপুরে মেডিকেল কলেজ এর দায়িত্ব পেলেন ডা. মো: ফজলুর রহমান শিবপুর উপজেলা স্কুল এন্ড কলেজ সমিতি নকশিস এর কমিটি গঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলজিইডির পরিশ্রমী ও সৎ ঠিকাদার আব্দুল মান্নান মাফিয়া নয় চিরিরবন্দরে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা র‍্যালিতে নির্বাহী অফিসার ফাতেহা তুজ জোহরা ময়মনসিংহের সাংবাদিকদের দাবী আগামী সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়নের আহবান -সংস্কার কমিটি

রাত পোহালেই ধানুয়া কামালপুর হানাদার মুক্ত দিবস

  • আপডেট সময় : সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১০৭ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায় রাত পোহালেই ৪ঠা ডিসেম্বর, ঐতিহাসিক ধানুয়া কামালপুর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে হানাদার বাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটি কামালপুর দুর্গের পতন হয়।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি বাহিনী। দিনটিকে স্মরণ করে প্রতি বছরই স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার মুক্ত দিবস পালন করে।

স্থানীয় সূত্র ও ইতিহাস থেকে জানা যায়, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলার মহেন্দ্রগঞ্জ ও জামালপুর জেলার পাহাড় ঘেঁষা বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুরে হানাদার বাহিনী যুদ্ধের শুরু থেকেই শক্তিশালী ঘাঁটি গড়ে তুলেছিল। এখান থেকেই হানাদার বাহিনীর সদস্যরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলা চালায়। উত্তর রণাঙ্গনের ১১ নম্বর সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল, যে কোনো মূল্যে এই ঘাঁটি দখল করা। এই যুদ্ধে কামালপুর রণাঙ্গনে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ১১ বার সম্মুখ যুদ্ধ হয়।

৩১ জুলাইয়ের আগে ধানুয়া কামালপুর রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব দেন জেড ফোর্স। জেড ফোর্সের অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মোকাবেলা করেন। তৎকালীন ৩১ জুলাই সম্মুখ যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ বীর উত্তম শাহাদাত বরণ করেন।

ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ শহীদ হওয়ার পর বীর মুক্তিযোদ্ধারা সেক্টর কমান্ডার মেজর আবু তাহেরের (পরে কর্নেল) পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৪ নভেম্বর হানাদার বাহিনীর ধানুয়া কামালপুর ঘাঁটি অবরোধ করেন।

অবরোধের প্রথম দিনই কামালপুর মির্ধা পাড়া মোড়ে সম্মুখ যুদ্ধে মর্টার শেলের আঘাতে সেক্টর কমান্ডার মেজর আবু তাহের (পরে কর্নেল) একটি পা হারান। পরে ভারপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব নেন উইং কমান্ডার হামিদুল্লাহ খান বীরপ্রতীক।

১০ দিন প্রচন্ড যুদ্ধের পর ৪ঠা ডিসেম্বর সকাল ৮ টায় সেক্টর কমান্ডারের নিদের্শক্রমে সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা বশির আহমেদ (বীরপ্রতীক) নিজের জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্পে সারেন্ডার পত্র নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যা ৭টায় ৩১ ব্যালুচ রেজিমেন্টের গ্যারিসন কমান্ডার আহসান মালিকসহ ১৬২ জন হানাদার বাহিনীর সদস্য মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।

শত্রু মুক্ত হয় ধানুয়া কামালপুর। ধানুয়া কামালপুর যুদ্ধে ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ (বীর উত্তম), বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আহাদুজ্জামান, তসলিম উদ্দিনসহ শহীদ হন ১৯৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। গুলিবিদ্ধ হয়ে ক্যাপ্টেন হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বীর বিক্রম (সাবেক মন্ত্রী মেজর হাফিজ) সহ অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেন।

অন্যদিকে একজন ক্যাপ্টেনসহ হানাদার বাহিনীর ২২০ জন সৈন্য মারা যায় এ যুদ্ধে। ধানুয়া কামালপুর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ২৯ জনকে তাদের বীরত্বের জন্য বীর বিক্রম, বীরউত্তম ও বীরপ্রতীক খেতাব দেয়া হয়।

শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে তৎকালীন বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) নিজস্ব অর্থায়নে ধানুয়া কামালপুর স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে নির্মাণ করা হয়েছে ধানুয়া কামালপুর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। প্রতিদিন শত শত মানুষ এই জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি ও প্রামাণ্যচিত্র দেখতে আসেন।

ডিসেম্বর মাস এলেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মিলন মেলায় পরিণত হয় মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টর ধানুয়া কামালপুর।

আরও পড়ুনঃ ময়মনসিংহে পর্নোগ্রাফি সাইট পরিচালনার অভিযোগে ডিবির হাতে গ্রেফতার ১২

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর
© All rights reserved © 2022 Dashani 24
Theme Customized By Shakil IT Park